আশিকুর রহমান আদনান, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার (১৭মে) সকালে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার তথ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপপ্রচার তথ্যের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শামীমা বেগম বলেন,গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন সংবাদিক প্রতিনিধির সাথে আমার কথা হয়েছিল।
তাদের আমি হলের অপরিচ্ছন্নতা ও ক্যান্টিরের খাবারের বিষয় গুলো সম্পর্কে বলেছি। কিভাবে আমাদের হলের খাবারের মান এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো যায় তা নিয়ে কথা বলেছিলাম।
তার আগের দিন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে গিয়েছিলাম সেখানকার হলের পরিবেশ খুবই মনোরম ও সুন্দর ছিল। এমনকি হলের মেঝেতে একটি ট্যিসু পেপার পর্যন্ত দেখা যায় নি।
এদিকে আমাদের হলের মেয়েরা ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে না, পানির ড্রেসিংয়ে খাবারের অবশিষ্ট অংশ ফেলে রাখে। এজন্য পানির ড্রেসিংয়ে খাবারের অবশিষ্ট অংশে ড্রেসিং ব্লকসহ বিভিন্ন সময়ে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ঢাবির হলের পরিবেশের চিত্র ও জবির হলের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের চিত্র তাদের কাছে তুলে ধরেছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা পরিষ্কার আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা অপরিষ্কার, এজন্য তারা পিছিয়ে, তাদের দিয়ে কিছু হবে না এরকম কোন কিছুই আমি তাদের বলেনি।
সাংবাদিকগন কেন, কী কারনে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী জানে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আমি কখনোই করতে পারি না।
তিনি আরোও অভিযোগসহিত বলেন, হলের ভিতরে বাহিরের কোন শিক্ষার্থীর প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ থাকা সত্ত্বেও আমাকে না জানিয়ে দুইজন ছাত্র সাংবাদিক হলে প্রবেশ করে ক্যান্টিনে খাওয়া-দাওয়া করেছে।
ইতিমধ্যে অপপ্রচারের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে, ফেসবুক গ্ৰুপে, বিভিন্ন পেইজে ট্রল করতে দেখা যাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।